বৃষ্টি

কবি : শ্রীপর্ণা

_
অনেকদিন পর বৃষ্টি মাখলাম ,
একলা।
তুমি বললে — একলা কেন ?
কিছুটা আঁধার মাখার জন্য –
বড়ো সুন্দর শোভাবাজারের গঙ্গা পার
এই একলা পাগল বৃষ্টি তেও আপন খেয়ালে নৌকো বেয়ে চলেছে সে.
কালোকেলো সেই ছোট্ট ডিঙি নৌকোখানা – পামভাঙা।
শুকতারার সাথী হয়েছিলো যেদিন , সেদিন থেকে তার নৌকো বাওয়া শুরু।
আমি দাঁড়িয়ে আছি সেই বটগাছটার নিচে
না , আশ্রয়ের জন্য না
গাছটার প্রতিটা ঝুড়িতে মাখা আছে আমার প্রেম , আমার আলো আঁধারির বন্যা ,
আমার একলাটি ঘর বাঁধা, ওই নৌকোর সাথে সাথে পায়ে পা মিলিয়ে পথ হাঁটা।
সামনে রূপসী গঙ্গা – ভরা যৌবনা।
পেছনে একলা থাকা কলকাতার সন্ধ্যা — আমার মতো সে ও দু হাতে মেখে নিচ্ছে একা নির্ঝর ।
নতুন বৃষ্টি স্নানে সে মনে প্রাণে আবার নুতন ,
টুকরো হাসি , ভেজা আনন্দ তীর তীর করে বয়ে যাওয়া পাশের নালার জল ,
সব নিয়ে সে খুশি, খুব খুশি ।
মাঝখানে আমি ,
আমার সাথে সর্বাঙ্গে জড়ানো অপর্যাপ্ত অবিন্যাটো বৃষ্টির ওম ,
আমার ভালোলাগা , আমার প্রেম।
তোমাকে বলা হয়নি
প্রতি বার আমি নতুন করে প্রেমে পড়ি ,
আমার সমস্ত প্রেম আর কিছুই না ,
প্রতিদিন আমার নিঃসঙ্গতার অধরে অন্ধকারওষ্ঠের অদ্ভুত আলিঙ্গন।